চুরি হতে পারে ATM পাসওয়ার্ড সামান্য অসাবধানতার কারণে
চুরি হতে পারে ATM পাসওয়ার্ড সামান্য অসাবধানতার কারণে
আমরা অনেক সময় আমাদের
ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকাররা কম্পিউটার হ্যাক করার মাধ্যমে নিয়ে যেতে পারে। আপনাদের
চারপাশে অনেক বড় বড় ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানগুলতে এরকমটি আমরা অনেক সময়ই দেখতে পাই।
তবে শুধু যে অনলাইনে বা কম্পিউটার থেকেই তথ্য চুরি হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়। অনেক
সময় এগুলো ব্যবহার না করেও ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে। ধরা যাক, একজন
কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নিজের তথ্য কীভাবে গোপন এবং সংরক্ষণ করে রাখতে হয় তার সব
উপায় জানেন। তিনি একই পাসওয়ার্ড দ্বিতীয়বার ব্যবহার করেন না। ইন্টারনেটের বিভিন্ন
ওয়েবসাইটে যান ভিপিএন ব্যবহার করে। কিন্তু এতসবের মধ্যেও কিন্তু তার তথ্য চুরি হয়ে
যেতে পারে। কীভাবে সেটা সম্ভব?
স্কিমিংয়ের মাধ্যমে
পাসওয়ার্ড চুরি
স্কিমিং ভিডিও করেও
তথ্য হাতিয়ে নেয়া যায়। ATM বুথগুলোতে এরকম ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। সবচেয়ে
প্রচলিত হচ্ছে স্কিমার নামক একটি যন্ত্র, যা ব্যবহার করে চুরি করা হয়। এটি
এমন একটি যন্ত্র যেটি বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা যায়। প্রতারকেরা ছোট একটি
স্কিমার ব্যবহার করে, যেখানে কার্ড প্রবেশ করালে এর যাবতীয় তথ্য ম্যাগনেটিক
স্ট্রিপের মাধ্যমে তারা হাতিয়ে নিতে পারে। ATM বুথগুলোতে খুব সহজেই
ক্যামেরার সাথে স্কিমার বসানো যেতে পারে এবং এর সাথে টাচপ্যাডও বসানো যায় যা
গ্রাহকের PIN হাতিয়ে নিতে পারে। এ বিষয়ে ব্যবহারকারীর চোখ-কান সজাগ রেখে
সতর্ক থাকা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
মেইল থেফটের মাধ্যমে
তথ্য চুরি
এর আগে যে স্কিমারের
কথা বলা হয়েছে সেটা শুধু কার্ডের নম্বরই চুরি করে না, মেইল থেফট করার জন্যও একে
ব্যবহার করা যেতে পারে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে নিজের ব্যাংকের স্টেটমেন্ট, কোথায়
কোথায় কত টাকা বিল দেয়া হচ্ছে বা অন্যান্য গোপনীয় অফিসিয়াল কাগজপত্রও চুরি করে
নেয়া যায়।
প্রি-টেক্সটিং মাধ্যমে
তথ্য চুরি
আসলে এভাবে তথ্য চুরি
হয়ে গেলে ব্যবহারকারীর আর কিছু করার থাকে না। সব তথ্য আবার নতুন করে সাজিয়ে নতুন
করে সব শুরু করতে হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় নিজের ব্যক্তিগত তথ্য আরেকজনের
হাতে চলে গিয়েছে এটা বুঝতেই অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, টাকা-পয়সা এবং অন্যান্য
ব্যক্তিগত সম্পদও এমন অবস্থায় আর ফিরে পাওয়া যায় না।
সব কিছু অনলাইন ভিত্তিক
এবং ডিজিটাল ভিত্তিক হওয়াতে অনেকগুলো সুবিধার মধ্যে যে অসুবিধাগুলো হয়ে থাকে
সেগুলোর সমাধান এখনো পুরোপুরি করা যায়নি। ব্যাংকিং সিস্টেম, টাকা-পয়সা লেনদেনের
ব্যাপারগুলোতে প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি সাইবার ক্রাইমগুলোকে আরো
কড়া আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
এসব নিরাপত্তার
ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিগুলো খুব ভালো কাজ করে। যেমন- কারো চোখ স্ক্যান বা
আঙ্গুলের ছাপ, ইমেজ রিকগনিশন ব্যবহার করে নিজের মুখমণ্ডল স্ক্যান করা ইত্যাদি দিয়ে
নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
No comments